Add

কিডনি নষ্ট হওয়ার অন্যতম কিছু অনিয়ম। কিডনি নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ: যা মেনে চলা জরুরী।

কিডনি নষ্ট হওয়ার অন্যতম কিছু অনিয়ম। যা মেনে চলা জরুরী। 


kidney
চিত্র:সংগ্রহীত


 ১। প্রস্রাব আটকে রাখা: অনেক সময় দেখা যায় আমারা কারণে অকারণে প্রস্রাব আটকে রাখি। যা আমাদের কিডনির  জন্য হতে পারে অনেক বড় ক্ষতির কারণ। 

 ২। প্রস্রাবে পরিবর্তন: কিডনি রোগের একটি বড় লক্ষণ প্রস্রাবে পরিবর্তন হওয়া। কিডনির সমস্যা  হলে প্রস্রাব বেশি হয় বা কম হয়ে থাকে। বিশেষত রাতে এই সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়ে থাকে। অনেক সময় প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলেও প্রস্রাব হয় না

 ৩। পর্যাপ্ত পানি পান না করা: পানি আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য উপাদান। দৈনিক আমাদের ৮ -১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে দেখা দিতে পারে কিডনির নানা জটিলতা।

 ৪। অতিরিক্ত লবন খাওয়া: কাঁচা লবন শরীরের পক্ষে অনেক বেশি ক্ষতিকর। অতিরিক্ত লবন সেবনের ফলে কিডনির রোগ  দেখা দিতে পারে।

 ৫। যেকোন সংক্রমনের দ্রুত চিকিৎসা না করা: যেকোন সংক্রমন হলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরী। না হলে কিডনির জটিলতা দেখা দিতে পারে। 

 ৬। মাংস বেশি খাওয়া: বেশি মাংস খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সেইসাথে কিডনির জন্য অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

 ৭। প্রয়োজনের তুলনায় কম খাওয়া: একজন মানুষের স্বাভাকিব যে পরিমার খাবার প্রয়োজন তার চেয়ে কম খাবার খেলে তা কিডনির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। 

 ৮। অপরিমিত ব্যথার ওষুধ সেবন: অতিরিক্ত ব্যাথার ওষুধ কিডনির জন্য মারাত্বক ক্ষতির কারন হিসাবে ধরা হয়। তায় ব্যাথার ওষুধ নির্দিষ্ট পরিমানে ও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত। 

৯। ওষুধে সেবনে অনিয়ম: আমরা নানা রোগব্যাধিতে প্রায়শই বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে থাকি। তবে এসব ওষুধ গ্রহণে অনিয়ম হলে দেখা দিতে পারে কিডনির রোগ।

 ১০। অতিরিক্ত মাদক সেবন: অতিরিক্ত মাদক সেবন করলে তা মানবদেহের কিডনির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তায় মাদক ত্যাগ করা উচিত।

 ১১। পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়া: অনেক সময় পর্যপ্ত বিশ্রাম না নিলে দেখা দিতে পারে কিডনির জটিলতা।

 ১২। ত্বকে র্যাশ হওয়া: কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়লে রক্তে বর্জ্য পদার্থ বাড়তে থাকে। এটি ত্বকে চুলকানি এবং র্যাশ তৈরি করতে পারে। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে দেখা দিতে পারে কিডনির বড় ধরনের রোগ। 

 ১৩। বমি বা বমি বমি ভাব হওয়া: রক্তে বর্জ্যনীয় পদার্থ বেড়ে যাওয়ায় কিডনির রোগে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার সমস্যা হতে পারে। তায় তেমন হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

 ১৪। ছোটো ছোটো শ্বাস: কিডনি রোগে  ফুসফুসে  তরল পদার্থ জমা হয়। এ ছাড়া কিডনি রোগে শরীরে রক্তশূন্যতাও দেখা দেয়। এসব কারণে শ্বাস নিতে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই অনেকে ছোট ছোট করে শ্বাস নেন। 

 এসকল নিয়মগুলো ফলো না করলে ও মেনে না চললে কিডনিতে দেখা দিতে পারে অনেক বড় জটিলতা। তায় এসকল অনিয়মের বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকা দরকার।


দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে যে সকল পুষ্টিকর খাবার: 

Post a Comment

0 Comments